সালেহীন ষোয়াদ সাম্মী ঃ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেন চাষিরা। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভালো দাম পান। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে চাষিরা মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোনো প্রকার চাষাবাদ করতে হয় না। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই বেড়ে ওঠে মিষ্টি কুমড়া। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন।
সরেজমিন মধুখালী কুমড়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা, আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। গতবারের তুলনায় ফলন এ বছর অনেক কম।
মধুখালী বাজারে আসা বামুন্দী গ্রামের চাষি মো. জিয়াউর জানান, ‘৪ পাখি জমিতে কুমড়ার চাষ করেছি। গাছ মারা যাওয়ায় ফলন অনেক কম হয়েছে। প্রতি পিস কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি।’
ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার মোল্যা জানান, ‘আমাদের এলাকার মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে মিষ্টি কুমড়া নিমশা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, মানিকগঞ্জ, যশোর, খুলনা, ঢাকা, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় চলে যায়।’
মধুখালী বাজারের কুমড়া আরতের ব্যবসায়ী আলম শেখ জানান, ‘এ বছর ফলন কম হওয়ায় কুমড়ার আমদানি কিছুটা কম। আমরা প্রতিকেজি কাঁচা কুমড়া ১০ থেকে ১২ টাকা এবং পাকা কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়াও কুমড়া ভেদে প্রতিটি চুকতা বা লট ১২শ’ থেকে ১৫শ’ পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব ইলাহী এ প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কুমড়া চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১০ হেক্টর। মিষ্টি কুমড়ার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার মেট্রিক টন।
ব্রেকিং নিউজ :
এ বছর গাছে ফলন কম মধুখালীতে মিষ্টি কুমড়ার হাট জমজমাট
-
সালেহীন সোয়াদ - Update Time : ০৫:০১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৫৬ Time View
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ












