সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
ক্রীড়া ডেস্ক
শুরুটা হয় নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখের (৩) বিদায়ে। তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি, উল্টো ব্যর্থ হয়েছেন। দলীয় ৫ রানে পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ হারিসকে ক্যাচ দিয়ে।
দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ২২ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের হাল ধরার ইঙ্গিত দেওয়া লিটন দাসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিপরীতে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দলীয় ২৫ রানেই ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। রানের খাতা খোলার আগে প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি।
অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে রেখে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখা পারভেজও যেন আর ধৈর্য ধরতে পারছিলেন না।
তা না হলে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের দায়িত্ব কাঁধে না নিয়ে বড় শট হাঁকাতে যাবেন কেন? তবে পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার আহমেদ দানিয়ালের বলকে মিড অন পার করাতে পারেননি। পার করার আগেই ১৩ রানে ফাহিমের হাতে ধরা পড়েন প্রথম ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান।
সেখান থেকে দলকে ১৩৩ রানের সংগ্রহটা এনে দিয়েছেন জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি না গড়লে এই সংগ্রহটা আর পাওয়া হতো না। সমান ২ চার ও ছক্কায় ৩৩ রানে মেহেদী আউট হলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
তবে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন জাকের। খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ১ চারে। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমান, দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদি।