ফরিদপুর ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে মধুখালীতে সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মধুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প–২০২৫ উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কোমরপুর বকুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান মধুখালীতে ইটের সলিং উঠে দেড় কিঃমিঃ সড়কের বেহাল দশা মধুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সালাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত মধুখালীতে জেলেদের মাঝে ভি.জি.এফ. চাল বিতরন মধুখালীতে নিউ জননী স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল শুভ উদ্বোধন

মধুখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে তোলপাড়, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৯৯ Time View

মফিজুর রহমান মুবিন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল ইসলাম বাচু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, গাছ কেটে নেওয়া ও নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। এ নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসমক্ষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

বুধবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মধুখালী রেলগেট সংলগ্ন মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভূক্তভোগী মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও আঃ কাউয়ুম মুন্সী।

সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “১৮ আগস্ট ২০২২ এবং ২২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে চেয়ারম্যান বাচু আমার কাছে মোট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেছি এবং প্রায় এক লাখ টাকার মেহগুনি গাছ কেটে নিয়ে যান।”

অন্যদিকে আঃ কাউয়ুম মুন্সী বলেন, “৮ মার্চ ও ২৩ নভেম্বর ২০২৪ সালে আমার জমি থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মেহগুনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘরের আলমারী ভেঙে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়া হয় এবং আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।”

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন, যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল ইসলাম বাচু বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন ও সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যেই একটি পক্ষ এসব অভিযোগ তুলেছে। গাছ কাটার বা চাঁদাবাজির কোনো ঘটনাই ঘটেনি।”

স্থানীয় এলাকাজুড়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান

মধুখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে তোলপাড়, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৫:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

মফিজুর রহমান মুবিন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল ইসলাম বাচু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, গাছ কেটে নেওয়া ও নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। এ নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসমক্ষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

বুধবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মধুখালী রেলগেট সংলগ্ন মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভূক্তভোগী মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও আঃ কাউয়ুম মুন্সী।

সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “১৮ আগস্ট ২০২২ এবং ২২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে চেয়ারম্যান বাচু আমার কাছে মোট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেছি এবং প্রায় এক লাখ টাকার মেহগুনি গাছ কেটে নিয়ে যান।”

অন্যদিকে আঃ কাউয়ুম মুন্সী বলেন, “৮ মার্চ ও ২৩ নভেম্বর ২০২৪ সালে আমার জমি থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মেহগুনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘরের আলমারী ভেঙে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়া হয় এবং আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।”

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন, যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল ইসলাম বাচু বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন ও সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যেই একটি পক্ষ এসব অভিযোগ তুলেছে। গাছ কাটার বা চাঁদাবাজির কোনো ঘটনাই ঘটেনি।”

স্থানীয় এলাকাজুড়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।