ফরিদপুর ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
শহীদ হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে  মহান বিজয় দিবস পালিত মধুখালী প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কলম বিতরন আমাকে বিদায় দিতে দয়া করে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না : তারেক রহমান ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছিল তাই বলে তাদের উপর নির্ভর করতে হবে এমন নয় ——-বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মধুখালীতে ভোটকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত মধুখালী মেগচামী মৃধা বাজারে খন্দকার নাসিরের পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারনা মধুখালী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন মধুখালিতে খন্দকার নাসিরের পক্ষে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচারণা শুরু

ভারতকে কাঁদিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬৬৪ Time View
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যাটনটা হাত বদল হতে দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। বরং রাজত্বর সময়কাল আরো এক বছর বাড়িয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে। দুবাইয়ে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আয়ুশ মাহত্রেকে (১) আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আল ফাহাদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বৈভব সূর্যবংশীকে (৯) দলীয় ২৪ রানের মধ্যে ফিরিয়ে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। তবে এরপর ছোট ছোট জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল ভারত।এমন সময় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল একটা মোমেন্টাম। সেই মোমেন্টামটাই এনে দিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। ২১তম ওভারে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন এই পেসার। নিজের ফিরতি ওভারে আরেকটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের কাজটা অনেকটাই সেরে রাখেন তিনি।৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নেন উদীয়মান এই পেসার।

 

৮১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশের জয়ের পথের কাঁটা হিসেবে তখন ছিলেন মোহাম্মেদ আমান। ভারতীয় অধিনায়ক এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে সেই আশা

কিছুদূর গিয়ে মিইয়ে যায়। দলীয় ১১৫ রানের সময় আজিজুল হাকিমের বলে তিনি ২৬ রানে বোল্ড হলে।শেষ দিকে ২৪ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হার্দিক রাজ। ১৩৯ রানে ভারতীয় ‍যুবারা অলআউট হলে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।ভারতের শেষ ব্যাটার চেতন শর্মার ক্যাচ বাউন্ডারিতে কালাম সিদ্দিকি ধরার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল। যুবাদের উল্লাস তখন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্যালারিতে। বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আজ অসংখ্য দর্শক মাঠে হাজির ছিলেন। ম্যাচ জয়ের পর বাংলাদেশের পতাকা হাতে ওভারল্যাপ দেওয়ার সময় প্রবাসী দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে যুবারা।

এর আগে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টস ভাগ্যে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ করতে পারে ১৯৮ রান। অথচ একটা সময় বাংলাদেশের রান কমপক্ষে ২২০ হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি মাঝে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয়। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান মোহাম্মেদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দুজনে ৬২ রানের জুটি গড়েন। জেমস ৪০ রানে বিদায় নেওয়ার পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

কেননা জেমসের দেখানো পথেই দ্রুত ফেরেন দেবাশীষ দেবা (১) ও রিজান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন রিজান। শেষ দিকে বাংলাদেশকে দুই শ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন ফরিদ হাসান। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে

রেখে ৩৯ রান করেন তিনি।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত

ভারতকে কাঁদিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের

Update Time : ০৭:২৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যাটনটা হাত বদল হতে দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। বরং রাজত্বর সময়কাল আরো এক বছর বাড়িয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে। দুবাইয়ে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আয়ুশ মাহত্রেকে (১) আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আল ফাহাদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বৈভব সূর্যবংশীকে (৯) দলীয় ২৪ রানের মধ্যে ফিরিয়ে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। তবে এরপর ছোট ছোট জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল ভারত।এমন সময় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল একটা মোমেন্টাম। সেই মোমেন্টামটাই এনে দিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। ২১তম ওভারে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন এই পেসার। নিজের ফিরতি ওভারে আরেকটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের কাজটা অনেকটাই সেরে রাখেন তিনি।৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নেন উদীয়মান এই পেসার।

 

৮১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশের জয়ের পথের কাঁটা হিসেবে তখন ছিলেন মোহাম্মেদ আমান। ভারতীয় অধিনায়ক এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে সেই আশা

কিছুদূর গিয়ে মিইয়ে যায়। দলীয় ১১৫ রানের সময় আজিজুল হাকিমের বলে তিনি ২৬ রানে বোল্ড হলে।শেষ দিকে ২৪ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হার্দিক রাজ। ১৩৯ রানে ভারতীয় ‍যুবারা অলআউট হলে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।ভারতের শেষ ব্যাটার চেতন শর্মার ক্যাচ বাউন্ডারিতে কালাম সিদ্দিকি ধরার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল। যুবাদের উল্লাস তখন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্যালারিতে। বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আজ অসংখ্য দর্শক মাঠে হাজির ছিলেন। ম্যাচ জয়ের পর বাংলাদেশের পতাকা হাতে ওভারল্যাপ দেওয়ার সময় প্রবাসী দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে যুবারা।

এর আগে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টস ভাগ্যে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ করতে পারে ১৯৮ রান। অথচ একটা সময় বাংলাদেশের রান কমপক্ষে ২২০ হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি মাঝে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয়। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান মোহাম্মেদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দুজনে ৬২ রানের জুটি গড়েন। জেমস ৪০ রানে বিদায় নেওয়ার পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

কেননা জেমসের দেখানো পথেই দ্রুত ফেরেন দেবাশীষ দেবা (১) ও রিজান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন রিজান। শেষ দিকে বাংলাদেশকে দুই শ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন ফরিদ হাসান। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে

রেখে ৩৯ রান করেন তিনি।