ফরিদপুর ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে মধুখালীতে সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মধুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প–২০২৫ উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কোমরপুর বকুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান মধুখালীতে ইটের সলিং উঠে দেড় কিঃমিঃ সড়কের বেহাল দশা মধুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সালাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত মধুখালীতে জেলেদের মাঝে ভি.জি.এফ. চাল বিতরন মধুখালীতে নিউ জননী স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল শুভ উদ্বোধন

মধুখালীতে মিষ্টি কুমড়ার হাট বৃষ্টিতে গাছ মারা যাওয়ায় ফলন কম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৪৪ Time View

সালেহীন সোয়াদ, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে চাষিরা। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভাল দাম পায় কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ ক্ষেতের মধ্যেই সাথী ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপণ করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোন প্রকার চাষাবাদ করতে হয় না। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই বেড়ে উঠে মিষ্টি কুমড়া। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন।

সরজমিনে সোমবার দুপুর ১২টায় কুমড়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা, আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। গতবারের তুলনায় ফলন এ বছর অনেক কম।

মধুখালী বাজারে আসা চর বাসপুর গ্রামের চাষী মোঃ জয়নাল জানায়, ৪ পাখি জমিতে কুমড়ার চাষ করেছিছি। বৃষ্টিতে গাছ মারা যাওয়ায় ফলন অনেক কম হয়েছে। ছোট থাকতেই বাজারে নিয়ে এসেছি। প্রতিপিস কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি।

ব্যবসায়ী মোঃ চয়ন শেখ জানায়, আমাদের এলাকার মিস্টি কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে মিস্টি কুমড়া নিমশা, সাতক্ষীরা,  মাগুরা, মানিকগঞ্জ, যশোর, খুলনা,  ঢাকা,গোপালগঞ্জ সহ কয়েকটি জেলায় চলে যায়।

মধুখালী বাজারের কুমড়া আরৎের ব্যবসায়ী মোঃ আলম শেখ জানান এ বছর ফলন কম হওয়ায় কুমড়ার আমদানি কিছুটা কম। আমরা প্রতিকেজি কাচাঁ কুমড়া ১০ থেকে ১২ টাকা এবং পাকা কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় ক্রয় করছি। এছারাও কুমড়া ভেদে প্রতিটি চুকতা বা লট ১২শো থেকে ১৫শো পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মাহবুব ইলাহী এ প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কুমড়ো চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। লক্ষমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯১৫ হেক্টর। মিষ্টি কুমড়ার ফলন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান

মধুখালীতে মিষ্টি কুমড়ার হাট বৃষ্টিতে গাছ মারা যাওয়ায় ফলন কম

Update Time : ০৩:২০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সালেহীন সোয়াদ, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে চাষিরা। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভাল দাম পায় কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ ক্ষেতের মধ্যেই সাথী ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপণ করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোন প্রকার চাষাবাদ করতে হয় না। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই বেড়ে উঠে মিষ্টি কুমড়া। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন।

সরজমিনে সোমবার দুপুর ১২টায় কুমড়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা, আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। গতবারের তুলনায় ফলন এ বছর অনেক কম।

মধুখালী বাজারে আসা চর বাসপুর গ্রামের চাষী মোঃ জয়নাল জানায়, ৪ পাখি জমিতে কুমড়ার চাষ করেছিছি। বৃষ্টিতে গাছ মারা যাওয়ায় ফলন অনেক কম হয়েছে। ছোট থাকতেই বাজারে নিয়ে এসেছি। প্রতিপিস কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি।

ব্যবসায়ী মোঃ চয়ন শেখ জানায়, আমাদের এলাকার মিস্টি কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে মিস্টি কুমড়া নিমশা, সাতক্ষীরা,  মাগুরা, মানিকগঞ্জ, যশোর, খুলনা,  ঢাকা,গোপালগঞ্জ সহ কয়েকটি জেলায় চলে যায়।

মধুখালী বাজারের কুমড়া আরৎের ব্যবসায়ী মোঃ আলম শেখ জানান এ বছর ফলন কম হওয়ায় কুমড়ার আমদানি কিছুটা কম। আমরা প্রতিকেজি কাচাঁ কুমড়া ১০ থেকে ১২ টাকা এবং পাকা কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় ক্রয় করছি। এছারাও কুমড়া ভেদে প্রতিটি চুকতা বা লট ১২শো থেকে ১৫শো পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মাহবুব ইলাহী এ প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কুমড়ো চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। লক্ষমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯১৫ হেক্টর। মিষ্টি কুমড়ার ফলন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।