ফরিদপুর ১২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে মধুখালীতে সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মধুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প–২০২৫ উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কোমরপুর বকুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান মধুখালীতে ইটের সলিং উঠে দেড় কিঃমিঃ সড়কের বেহাল দশা মধুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সালাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত মধুখালীতে জেলেদের মাঝে ভি.জি.এফ. চাল বিতরন মধুখালীতে নিউ জননী স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল শুভ উদ্বোধন

ফরিদপুরে মাছ ধরার পলো উৎসবে হাজারো মানুষ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৬২ Time View

শহর প্রতিনিধিঃ
‘মাছ ধরার পলো উৎসব’ গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। আগে এই উৎসব সচরাচর দেখা গেলেও বর্তমানে তা খুব একটা দেখা যায় না। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরবিষ্ণুপুর এলাকার কাইজার বিলে মাছ ধরার পলো উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষ অংশ নেয় এই উৎসবে।

সূর্য উদয়ের পূর্বেই হাজারো মানুষের ঢল নামে কাইজার কোল নামক বিল এলাকাটিতে। কারো হাতে পলো, কারো হাতে জাল সহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরন। দূর দূরান্ত থেকে পলো হাতে নিয়ে পায়ে হেটে আনন্দ ফুর্তি করতে করতে মাছ ধরার উৎসবে এসেছেন নানা বয়সী মানুষ। উৎসবে কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও অংশ নেন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৭টায় ফরিদপুর সদর উপজেলায় কাইজার কোলে পলো উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় যুব সমাজ। প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী চলে এই উৎসব। হাটু পানি থেকে মাজা পানিতে শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামে।

পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব দেখতে কোলের পাশের চারপাশের রাস্তায় অবস্থান নেয় নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এধরনের উৎসবে এসে খুশি আগতরা। তারা জানালেন, এধরনের হারিয়ে যাওয়া উৎসব দেখতে এসে খুব ভালো লাগছে। মাছ ধরতে কোলে নামা মানুষগুলো জানালেন তাদের অনুভুতির কথা।

প্রকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠা দেশী প্রজাতিসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ আছে বিলটিতে। তাই মাছ মারার আগ্রহীরা জড়ো হন এখানে। তবে বিলে প্রচুর কচুরিপানা ও ঘাসপাতা থাতায় মাছ ধরতে বেগ পেতে হয় তাদের।

আয়োজকরা জানালেন, গত দুই দিন যাবৎ পলো উৎসবের মাইকিং করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এমন উৎসবে যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ। এই কোলে, চায়না দোয়ারী, কারেন্ট জাল, ভেসাল দিয়ে মাছ মারা হতো। প্রশাসন এটা বন্ধ করায় আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি। হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন। প্রতিবছর যাতে এধরনের আয়োজন করতে পারি, সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

আয়োজকরা, পলো উৎসব।

গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য পলো উৎসব ধরে রাখতে প্রতিবছর আয়োজন করা হোক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান

ফরিদপুরে মাছ ধরার পলো উৎসবে হাজারো মানুষ

Update Time : ০৬:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

শহর প্রতিনিধিঃ
‘মাছ ধরার পলো উৎসব’ গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। আগে এই উৎসব সচরাচর দেখা গেলেও বর্তমানে তা খুব একটা দেখা যায় না। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরবিষ্ণুপুর এলাকার কাইজার বিলে মাছ ধরার পলো উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষ অংশ নেয় এই উৎসবে।

সূর্য উদয়ের পূর্বেই হাজারো মানুষের ঢল নামে কাইজার কোল নামক বিল এলাকাটিতে। কারো হাতে পলো, কারো হাতে জাল সহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরন। দূর দূরান্ত থেকে পলো হাতে নিয়ে পায়ে হেটে আনন্দ ফুর্তি করতে করতে মাছ ধরার উৎসবে এসেছেন নানা বয়সী মানুষ। উৎসবে কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও অংশ নেন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৭টায় ফরিদপুর সদর উপজেলায় কাইজার কোলে পলো উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় যুব সমাজ। প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী চলে এই উৎসব। হাটু পানি থেকে মাজা পানিতে শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামে।

পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব দেখতে কোলের পাশের চারপাশের রাস্তায় অবস্থান নেয় নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এধরনের উৎসবে এসে খুশি আগতরা। তারা জানালেন, এধরনের হারিয়ে যাওয়া উৎসব দেখতে এসে খুব ভালো লাগছে। মাছ ধরতে কোলে নামা মানুষগুলো জানালেন তাদের অনুভুতির কথা।

প্রকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠা দেশী প্রজাতিসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ আছে বিলটিতে। তাই মাছ মারার আগ্রহীরা জড়ো হন এখানে। তবে বিলে প্রচুর কচুরিপানা ও ঘাসপাতা থাতায় মাছ ধরতে বেগ পেতে হয় তাদের।

আয়োজকরা জানালেন, গত দুই দিন যাবৎ পলো উৎসবের মাইকিং করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এমন উৎসবে যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ। এই কোলে, চায়না দোয়ারী, কারেন্ট জাল, ভেসাল দিয়ে মাছ মারা হতো। প্রশাসন এটা বন্ধ করায় আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি। হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন। প্রতিবছর যাতে এধরনের আয়োজন করতে পারি, সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

আয়োজকরা, পলো উৎসব।

গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য পলো উৎসব ধরে রাখতে প্রতিবছর আয়োজন করা হোক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।