ফরিদপুর ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে মধুখালীতে সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মধুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প–২০২৫ উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কোমরপুর বকুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান মধুখালীতে ইটের সলিং উঠে দেড় কিঃমিঃ সড়কের বেহাল দশা মধুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সালাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত মধুখালীতে জেলেদের মাঝে ভি.জি.এফ. চাল বিতরন মধুখালীতে নিউ জননী স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল শুভ উদ্বোধন

মধুখালীতে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে ৫গ্রামের মানুষ দিশেহারা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ মোনাজাত

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গয়েশপুর , বকসিপুর , জারজরনগর, বিজয় নগর, চরকসুন্দি এই পাঁচ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের থেকে রক্ষা পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে জন্মস্থান আর বিভিন্ন স্থাপনাকে রক্ষা করতে করছেন বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা।
নানা অফিসে এলাকার মানুষ ঘুরে ঘুরে ভাঙ্গনের হাত থেকে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে এই নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসি স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার মাওলানা ইয়াসির আরাফাত। এতে অংশ নেন য়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ভাঙ্গন কবলিত ৫ গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ।
এ মোনাজাতে অংশ নিয়ে আকবর মন্ডল, নজরুল ইসলাম, বাহের ফকির, গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার তাওহীদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমার সাথে সাথে প্রায় ১৫দিন ধরে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এত করে প্রতিদিনই কৃষি জমি ভেঙ্গে পড়েছে। আরো ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে কৃষি জমি, বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ।
এলাকাবাসি আরো জানান ইতিমধ্যে ওই গ্রামগুলোর ২০টি বাড়ি ও অনেক কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাই স্কুল, ৭টি মসজিদ, ১টি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এলাকাবাসি যথাযথ কতৃর্পক্ষের কাছে নদী ভাঙ্গনরোধে বাঁধ ণির্মানের জোর দাবি জানিয়ে আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী বলেন আমি এই গ্রামগুলো ও কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ী মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষার্থে ইতমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযেগ করেছি।
নদী ভাঙ্গনরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান আমরা বিষয়ে উপরোন্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান

মধুখালীতে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে ৫গ্রামের মানুষ দিশেহারা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ মোনাজাত

Update Time : ০৫:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গয়েশপুর , বকসিপুর , জারজরনগর, বিজয় নগর, চরকসুন্দি এই পাঁচ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের থেকে রক্ষা পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে জন্মস্থান আর বিভিন্ন স্থাপনাকে রক্ষা করতে করছেন বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা।
নানা অফিসে এলাকার মানুষ ঘুরে ঘুরে ভাঙ্গনের হাত থেকে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে এই নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসি স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার মাওলানা ইয়াসির আরাফাত। এতে অংশ নেন য়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ভাঙ্গন কবলিত ৫ গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ।
এ মোনাজাতে অংশ নিয়ে আকবর মন্ডল, নজরুল ইসলাম, বাহের ফকির, গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার তাওহীদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমার সাথে সাথে প্রায় ১৫দিন ধরে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এত করে প্রতিদিনই কৃষি জমি ভেঙ্গে পড়েছে। আরো ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে কৃষি জমি, বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ।
এলাকাবাসি আরো জানান ইতিমধ্যে ওই গ্রামগুলোর ২০টি বাড়ি ও অনেক কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাই স্কুল, ৭টি মসজিদ, ১টি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এলাকাবাসি যথাযথ কতৃর্পক্ষের কাছে নদী ভাঙ্গনরোধে বাঁধ ণির্মানের জোর দাবি জানিয়ে আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী বলেন আমি এই গ্রামগুলো ও কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ী মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষার্থে ইতমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযেগ করেছি।
নদী ভাঙ্গনরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান আমরা বিষয়ে উপরোন্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি।