ফরিদপুর ০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে মধুখালীতে সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মধুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প–২০২৫ উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কোমরপুর বকুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান মধুখালীতে ইটের সলিং উঠে দেড় কিঃমিঃ সড়কের বেহাল দশা মধুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সালাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত মধুখালীতে জেলেদের মাঝে ভি.জি.এফ. চাল বিতরন মধুখালীতে নিউ জননী স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল শুভ উদ্বোধন

আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫৮৭ Time View

মধুখালী কণ্ঠ ডেস্ক :

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১২ প্রতিষ্ঠানকে আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এই ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ৮ অক্টোবর ৭ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সে হিসাবে দুই সপ্তাহে ১৯ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অনুমতি বলবৎ থাকবে। দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে বলে মনে করা হয়।

একইসঙ্গে ডিম আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। প্রথম শর্তটি হল এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু–মুক্ত দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকার সনদ দাখিল করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। চতুর্থত, অনুমতি পেলে সাত দিন পরপর এ–সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।

কয়েক দিন আগে বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে প্রায় ২০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করেছিল। ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন সরবরাহে ঘাটতির কারণে ডিম পাওয়া যাচ্ছিল না।

আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ডিমের দাম কমে আগের জায়গায় আসে। প্রতি ডজন ডিম এখন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিটি ডিমের দাম হবে উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর ডজন হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ডিম আমদানিতে সাময়িকভাবে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এরপর ১৭ অক্টোবর ডিম আমদানিতে করছাড় ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ডিম আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক-সুবিধা থাকবে।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান

আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

Update Time : ১০:০১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

মধুখালী কণ্ঠ ডেস্ক :

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১২ প্রতিষ্ঠানকে আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এই ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ৮ অক্টোবর ৭ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সে হিসাবে দুই সপ্তাহে ১৯ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অনুমতি বলবৎ থাকবে। দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে বলে মনে করা হয়।

একইসঙ্গে ডিম আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। প্রথম শর্তটি হল এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু–মুক্ত দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকার সনদ দাখিল করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। চতুর্থত, অনুমতি পেলে সাত দিন পরপর এ–সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।

কয়েক দিন আগে বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে প্রায় ২০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করেছিল। ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন সরবরাহে ঘাটতির কারণে ডিম পাওয়া যাচ্ছিল না।

আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ডিমের দাম কমে আগের জায়গায় আসে। প্রতি ডজন ডিম এখন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিটি ডিমের দাম হবে উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর ডজন হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ডিম আমদানিতে সাময়িকভাবে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এরপর ১৭ অক্টোবর ডিম আমদানিতে করছাড় ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ডিম আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক-সুবিধা থাকবে।