মো. সহিদুল ইসলাম :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের বটপাড়া খালের পাড়ের ইটের সলিং রাস্তায় খালের পাড়ে মাটি কম থাকার কারনে এবং ভারি বৃস্টির কারনে তিনটি স্পটের ইটের রাস্তাটি খানাখন্দে এবং ধসে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জন সাধরণের দুর্ভোগের সীমা নেই। এদিকে রাস্তাটির বেহাল হওয়ায় প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের বটপাড়া ব্রীজ থেকে একটু উত্তরে গেলেই হরিপদ খালের ব্রীজ পর্যন্ত তিনটি স্পটে ইটের সলিং এর রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা ও ধ্বষে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় খানাখন্দে পানি বেঁধে যাচ্ছে। বটপাড়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি প্রতিনিধিকে জানান, ভাঙ্গা ও ধ্বষে যাওয়া রাস্তায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল, ভ্যান, গরুর গাড়ী, নছিমন , করিমন নিয়ে চালিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর রাতে অন্ধকারে আরও বেশী সমস্যা । তাছাড়া ফুলেরশ্বরী নদী ও ডুমাইন রুপাতলা বিলের ও অন্যান্য মাঠের ক্ষেত খামার আনার এবং আশপাশের গ্রামের জরসাধারণের চলাচলে এই রাস্তাটিই ভরসা। এছাড়া কোনো অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে যেতে পারে না। ৫ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে এ রাস্তা দিয়ে।এছাড়াও রাস্তা খারাপের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি এখন পিচ করনের সময় দাবি হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসি দ্রুত সংস্কার দেখতে চায়। এই ইটের রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয়। গত ২—৩ বছর আগে এ খালের পাড়ের কাঁচা রাস্তায় ইট বসানো হয়। তার পর আর রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা করা হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জীবন কুমার মন্ডল বলেন, রাস্তা খারাপ মানুষের চলাচলের সমস্যার সীমা নেই। তবে খালের পাড়ের ছলপ কাটার কারনে এবং অতিরিক্ত বৃস্টির কারনে এই ইটের সলিং রাস্তা মাঝে মাঝে ধসে গেছে, মাঝে মধ্যেই পথচারীরা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে যাহা মেরামত করা অতি জরুরী । এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন কতৃপক্ষকে জানিয়ে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের বটপাড়া ব্রীজ থেকে একটু উত্তরে গেলেই হরিপদ খালের ব্রীজ পর্যন্ত তিনটি স্পটে ইটের সলিং এর বেহাল দশায় এ রাস্তাটি জনগনের চরম ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অতি দ্রুতই পুনরায় সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ।