ফরিদপুর :
ফরিদপুরে এক নারীর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়া সহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগকে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেন। তিনি দাবি করেছেন- ৩ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার ও পাওনা টাকা আদায় করতে গেলে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন ওই নারী।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মুন্সি আকতার হোসেন। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোন্দারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ছিলেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অর্ধনগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়া, চাকরিচ্যূত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা, পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন- বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করেন এই কর্মকর্তা এবং কৌশলে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ধারণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুন্সি আকতার হোসেন দাবি করে বলেন- আমার বিরুদ্ধে যে লিখিত ও পঠিত বক্তব্য পেশ করেছে, তা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত, আমি তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রকৃত বক্তব্য হচ্ছে, সে আমাদের সম্পর্কে আত্মীয়। দীর্ঘ দিন ধরে উভয় পরিবারের মধ্যে আন্তরিকতা, সহানুভূতি ও যাতায়াত বিদ্যমান। পারিবারিক অসচ্ছলতার অজুহাতে আমার নিকট হতে সে এবং তার মা মাঝে মধ্যে আর্থিক সাহায্য নিয়েছে। এসডিসিতে চাকুরি থাকাকালীন সময়ে তিনবার তাকে কামারখালী ব্রাঞ্চ হতে বদলী করায় আমার সুপারিশের মাধ্যমে বদলী আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি সংস্থার ইডি সাহেব নিশ্চিত করবে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির মধ্যে কৌশলে নগ্ন ছবি সংগ্রহ করা, অভিযোগ দিয়ে চাকুরি হতে বরখাস্ত করা, বনিক সমিতির নিকট অভিযোগ দেওয়া, প্রস্তাবে রাজি না হলে ভয়-ভীতি দেখানো সহ ক্ষতির আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীতার বিষয়গুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগ। যা তার নিজ এলাকা ও এসডিসি ফরিদপুর ও কামারখালী ব্রাঞ্চ অফিসে যোগাযোগ করলে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত হবে।
মোবাইল হারানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন-
আমি গত ৯ জুলাই মোবাইল হারিয়ে গিয়েছে মর্মে আদাবর থানা, ঢাকা বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। উক্ত মোবাইলটি ওই নারীর নিকট থাকার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করায় উক্ত ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে এবং আমার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া ও আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন- ছবি ও ভিডিও আমার মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে এমন অভিযোগের কোন প্রমানিক দলিল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করতে পারেনি। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে অনিয়মের অভিযোগে এসডিসি ফরিদপুর অফিস হতে তাকে শোকজ করা হলে তার জবাবে তিনি উল্লেখ করেন ডিউটিতে থাকাকালীন অবস্থায় তার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। উক্ত ফোনে স্বামীর সাথে তার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের কিছু ছবি কে বা কারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে আমার সামাজিক মর্যাদা ও মানহানি করার লক্ষ্যে, পাওনা টাকা পরিশোধ না করার অভিপ্রায় এবং আমার হারানো মোবাইল তার কাছে থাকার বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ায় নিজেকে আড়াল করার হীন প্রচেষ্টায় আমার বিরুদ্ধে সে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করেছে।