ফরিদপুর ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে মধুখালীতে সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মধুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প–২০২৫ উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কোমরপুর বকুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান মধুখালীতে ইটের সলিং উঠে দেড় কিঃমিঃ সড়কের বেহাল দশা মধুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সালাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত মধুখালীতে জেলেদের মাঝে ভি.জি.এফ. চাল বিতরন মধুখালীতে নিউ জননী স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল শুভ উদ্বোধন

মধুখালীতে সয়াবিন তেলের সংকট, অতিরিক্ত দামে বিক্রি, বিপাকে ক্রেতারা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৫৩ Time View

মধুখালী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা :
রমজানের আগেই ফরিদপুরের মধুখালীতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানিদের অভিযোগ সংকটের জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এতে ক্রেতা সাধারন পড়েছে বিপাকে।ক্রেতা সাধারনের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি মুনাফার আশায় তেলের সংকট তৈরি করে বেশি দাম লুফে নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় দুই মাস ধরে কোম্পানি থেকে সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। পুষ্টি গ্রুপের মধুখালীর ডিলার রেজাউল করিম জানান, আমরা অর্ডার দিয়ে রেখেছি অনেক আগে কিন্তু কম্পানি থেকে কোন মাল দিচ্ছেনা। এতে বাজারে সংকট সৃষ্টি হচ্ছ। ডিপু থেকে তেল সরবরাহ করছে না। রমজানের মধ্যে প্রোডাক্টশন চালু হবে কিনা সে বিষয়ে তার জানা নেই। বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ৫ লিটার নেই। রয়েছে শুধু ২ থেকে ৩ লিটারের রোতল। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। মোঃ তারিকুল নামের ক্রেতা বলেন, এসব তেল মজুত করে রাখা হয়েছে। দাম বাড়ানোর জন্য এই কাজ করেছে অবৈধ সিন্ডিকেট। আরেক ক্রেতা মোঃ ইদ্রিছ বলেন, সব মুদি দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়, এখন অধিকাংশ দোকানেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোন কোন দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ সুযোগে খোলা তেলের দাম বেড়ে গেছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাধারন সম্পাদক মোঃ সজিব ইসলাম জানান, বাজারে বর্তমানে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। রোজায় দ্রবের দাম সহনীয় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্নয়ে বাজার মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সয়াবিন তেল কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফার আশায় তাদের প্রোডাক্টশন বন্ধ করে রেখেছে বিধায় বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে সয়াবিন তেলের সঙ্গে কম চাহিদার পণ্য নিতে বাধ্য করছেন।
মধুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুর রহমান বলেন, রোজার মাস ধরে বাজারে অভিযান চলবে। যারা বাজারে দ্রব্য মজুদ রাখবে,দাম বেশি রাখবে, এবং ওজনে কম ও ভেজাল দিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
About Author Information

Acting Editor

জনপ্রিয় সংবাদ

‘টিকা কোনো আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে’— টাইফয়েড কর্মসূচির উদ্বোধনে মধুখালী ইউএনও’র আহ্বান

মধুখালীতে সয়াবিন তেলের সংকট, অতিরিক্ত দামে বিক্রি, বিপাকে ক্রেতারা

Update Time : ০৩:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মধুখালী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা :
রমজানের আগেই ফরিদপুরের মধুখালীতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানিদের অভিযোগ সংকটের জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এতে ক্রেতা সাধারন পড়েছে বিপাকে।ক্রেতা সাধারনের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি মুনাফার আশায় তেলের সংকট তৈরি করে বেশি দাম লুফে নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় দুই মাস ধরে কোম্পানি থেকে সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। পুষ্টি গ্রুপের মধুখালীর ডিলার রেজাউল করিম জানান, আমরা অর্ডার দিয়ে রেখেছি অনেক আগে কিন্তু কম্পানি থেকে কোন মাল দিচ্ছেনা। এতে বাজারে সংকট সৃষ্টি হচ্ছ। ডিপু থেকে তেল সরবরাহ করছে না। রমজানের মধ্যে প্রোডাক্টশন চালু হবে কিনা সে বিষয়ে তার জানা নেই। বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ৫ লিটার নেই। রয়েছে শুধু ২ থেকে ৩ লিটারের রোতল। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। মোঃ তারিকুল নামের ক্রেতা বলেন, এসব তেল মজুত করে রাখা হয়েছে। দাম বাড়ানোর জন্য এই কাজ করেছে অবৈধ সিন্ডিকেট। আরেক ক্রেতা মোঃ ইদ্রিছ বলেন, সব মুদি দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়, এখন অধিকাংশ দোকানেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোন কোন দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ সুযোগে খোলা তেলের দাম বেড়ে গেছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাধারন সম্পাদক মোঃ সজিব ইসলাম জানান, বাজারে বর্তমানে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। রোজায় দ্রবের দাম সহনীয় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্নয়ে বাজার মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সয়াবিন তেল কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফার আশায় তাদের প্রোডাক্টশন বন্ধ করে রেখেছে বিধায় বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে সয়াবিন তেলের সঙ্গে কম চাহিদার পণ্য নিতে বাধ্য করছেন।
মধুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুর রহমান বলেন, রোজার মাস ধরে বাজারে অভিযান চলবে। যারা বাজারে দ্রব্য মজুদ রাখবে,দাম বেশি রাখবে, এবং ওজনে কম ও ভেজাল দিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।